আজ শনিবার, ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তোলারাম কলেজের ১’শ ১১ শিক্ষার্থীর সংবর্ধনা

তোলারাম কলেজের

তোলারাম কলেজেরনিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৭ সালের স্নাতক ৪র্থ বর্ষের ও ২০১৫ সালের মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা দিয়েছে সরকারি তোলারাম কলেজ। ১৪ টি বিভাগে অনার্স এর ৪৯ জন ও মাস্টার্স এর ৬২ জন, সর্বমোট ১১১ শিক্ষার্থীদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় সরকারি তোলারাম কলেজের ক্যাম্পাসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও গীতা পাঠের সাথে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা সঞ্চারিত হতে থাকে।

তোলারাম কলেজের অধক্ষ্য বেলা রাণী সিংহের সভাপতিত্বে ও অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ জাকিয়া নূরের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এনডিসি ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ অধিদপ্তর কলেজ ও প্রশাসন পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ শামছুল হুদা। এছাড়াও ছিলেন সরকারি তোলারাম কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শাহ মো. আমিনুল ইসলাম, ছাত্র-ছাত্রী কমিটির আহ্বায়ক সাহেরা বেগম, ছাত্রদলের নেতা হাবিবুল্লাহ রিয়াদ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ মদন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন বলেন, সংসদ মন্ত্রনালয়ে ২০০৯ সালে আমাদের এই দেশকে সব ধরণের খারাপ উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ধর্ষণ, শিশুমৃত্যুহার, স্বাক্ষরতায় পিছিয়ে থাকা এই সকল কিছুর মাত্রা বেশি ছিলো আমাদের এই বাংলাদেশে। কিন্তু তাদের উদাহরণের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলাম বাংলাদেশ একদিন পিছিয়ে না সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। ২০১৬ সালে আমার বলা কথা বাস্তবে রূপ নেয়। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ আমাদের দেশে আসছে, কারণ দেশের স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল মডেল দেশ। এদেশে কৃষক থেকে শুরু করে নি¤œশ্রেণীর মানুষ ইন্টারনেট ও স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে চলছে। যেকোন প্রান্ত থেকে প্রয়োজনীর সকল ধরণের কাজ ও অফিস-আদালতের কাজ সেরে নেয়া যায়। এখন কাজ থেমে থাকেনা মানুষের জন্য, মানুষ বাসায় থেকেই কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেন। এই তোলারম কলেজের শিক্ষার্থীরা সারা বাংলাদেশ উন্নয়ন করেছেন এবং শিক্ষাকে তুলে মেলে ধরেছেন। তোলারাম কলেজ থেকে কোনদিন কোন রকম রিপোর্ট আমার কাছে আসেনি।

তিনি আরো বলেন যে রাঁধতে পারে, সে চুলও বাঁধতে পারে। মাদক মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, জঙ্গি মুক্ত শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ চাই। প্রধান মন্ত্রী মিশন মতে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যময় বাংলাদেশে পোছাবো ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উচ্চময় বাংলাদেশে পরিণত হতে চাই।

প্রফেসর মোহাম্মদ শামছুল হুদা বলেন, আমি বিশ্বাস করি এই কলেজের কোন শিক্ষার্থী মাদক ও জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত নয়। আমি বিশ্বাস করি এই কলেজের শিক্ষার্থীরা দূর্নীতি করবেনা এবং দূর্নীতিকে প্রসরয় দিবেনা। আমি চাই এই কলেজের শিক্ষার্থীরা শুধু নারায়ণগঞ্জে না সারা বাংলাদেশে একটি উজ্জল দৃষ্টান্তের দৃশ্য স্থাপন করবে। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও উন্নয়ণশীল বাংলাদেশে গড়ে তোলতে চাই শেখ হাসিনার মতো। সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলদেশ একটি সোনার খাচা। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭.৪% সারা পৃর্থিবীতে বাংলাদেশ ২য় অবস্থায়। বাংলাদেশ খুব দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশের এই অগ্রসর দেখে সকল দেশ বাংলাদেশকে কেলকোয়েটার করতে শুরু করেছে।

যে ক্ষমতাশীল পাকিস্তানের সাথে ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী যোদ্ধকরে রক্তের বিনিময় বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো। আজ সে পাকিস্তানের সাথে আমাদের বাংলাদেশের উন্নয়নের তোলনা করা হয়। তাই প্রত্যেককে আমাদের কির্তীমান হতে হবে। যাতে করে আমাদের উন্নয়নকে কেউ ছুতেও না পারে। ৩০ লক্ষ মানুষের রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে।

সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ মদন বলেন, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত সমাজকে ভাঙ্গতে হবে। মুক্তিযোদ্ধ চেতনার সমাজ গড়তে হবে। ভালো রেজাল্ট ও স্বর্ণ পদক নয় বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে তার দক্ষতা ও ক্ষমতা কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে যে বিষয়টাই প্রধান বিষয়। তোমাদের লক্ষ্য কিন্তু এখানেই শেষ নয় তোমাদের লক্ষ্য গুলো এখান থেকে শুরু দেশ গড়ার ও সমাজ গড়ার। লক্ষ করলেই হবেনা সে লক্ষকে অর্জন করতে হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ